ভারতকে ‘‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার’’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তিনি এ মন্তব্য করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রিম মিশ্রির সঙ্গে বৈঠকের পর।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম নয়াদিল্লি এবং কাবুলের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে দুই দেশের কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সম্প্রসারণ এবং ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেছেন। ভারত, পাকিস্তানের করাচি এবং গোয়াদর বন্দরকে পাস কাটিয়ে চাবাহার বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের জন্য কাজ করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনীতি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে, ভারতকে আঞ্চলিক এবং অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে ভারতীয় প্রশাসন কাবুলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্য নিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে। যদিও তালেবান প্রশাসনকে কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও ভারত আফগানিস্তানে সীমিত মানবিক সহায়তা এবং চিকিৎসা সহায়তা পাঠাচ্ছে।
এদিকে, চীন, রাশিয়া এবং অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিরাও আফগানিস্তানে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। ভারতের তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে এই বৈঠক পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, কারণ পাকিস্তান আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে এবং অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি যুদ্ধ করেছে।
এই বৈঠকের পর, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হামলার অভিযোগের বিষয়টি আরও উত্তপ্ত হতে পারে, যদিও তালেবান এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।